সম্প্রতি বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্ম দেয়ায় আলোচনায় বরিশাল দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক, সাবেক সংসদ আবুল হোসেন খান। সূত্র জানায় গত ২৮ অক্টোবর বিএনপি’র মহাসমাবেশ কে ঘিরে বিরোধী রাজনৈতিক পরিস্থিতির আলোকে ২৯ অক্টোবর বিএনপির হরতাল পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার অবরোধে বরিশাল বিএনপির শীর্ষ নেতারা আন্দোলনে কোন প্রকার ভূমিকা না রাখায় সমালোচনা ও ভীষণ চাপের মুখে পরে। একপর্যায়ে দলের হাই কমান্ডের চাপে অবরোধের দ্বিতীয় দিন অনেকটা নাটকীয়ভাবে কর্মীবিহীন বরিশাল নগরীর সিএন্ডবি রোডে কথিত রাস্তা অবরোধ করতে গিয়ে আটক হন বিএনপি’র বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন ও বরিশাল দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবুল হাসান খানসহ কয়েকজন। তাদের আটকের স্টাইল দেখে তখনই বিএনপি’র সমর্থকদের মাঝে নানা প্রশ্ন জাগে। দলের অনেকেই মনে করেন নিজেদের সেইফ সাইডে রাখার জন্যই তারা কোন প্রকার প্রস্তুতি না নিয়ে স্ব-ইচ্ছায় পুলিশের কাছে নিজেদের ধরা দিয়েছে। ওই নাটকীয়তার অবসান হতে না হতেই আবুল হোসেন খানের বিশ্বস্ত সহযোগী সাজ্জাদ হোসেন মোল্লা’র জাতীয় পার্টিতে যোগদান এবং গতকাল হরতালের মধ্যে কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে নিজের ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার করে আবুল হোসেন খানের বাকেরগঞ্জের নিজ এলাকায় যাবার একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল এর মধ্য দিয়ে আবারো বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এ বিষয়ে ক্ষুব্ধকর্মীরা অনেকেই তাদের ফেসবুক আইডিতে বিরূপ মন্তব্য করে পোস্ট করেছেন। কেউ কেউ লিখেছেন আবুল হোসেনের সহযোগী সাজ্জাদ মোল্লার মতোই তিনি অন্য কোন দলে যোগ দিচ্ছে কিনা? আবার কেউ লিখেছেন সরকারের সাথে আঁতাত করে হয়তোবা তিনি নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কেউ লিখেছেন হরতালের মধ্যে নিজের গাড়ি ব্যবহার করে দলের কর্মসূচির প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে। এর সবকিছুর কারণ হিসেবে তার দ্রুত মুক্তির বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। দলের অনেকেরই অভিযোগ, যেখানে দলের মহাসচিব থেকে শুরু করে মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা পর্যন্ত জামিন পাচ্ছে না সেখানে শিরিন- আবুল হোসেন গংরা কি করে দ্রুত জামিন পেলো। তা হলে সরকারীদলের সাথে আঁতাত করেই জামিন হলো কিনা এ নিয়ে বরিশাল বিএনপিতে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। এ ব্যাপারে জানতে আবুল হোসেন খানের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ব্যবহারিত নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।
Leave a Reply